যেভাবে চিনি খাওয়া কমাবেন

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে চিনি একটি অপরিহার্য উপাদান। সাধারণত আমরা যেসব প্রক্রিয়াজাত খাবার খাই তার অধিকাংশতেই চিনি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আবার অনেক খাবার আছে যাতে চিনির বিকল্প বিভিন্ন মিষ্টিকারক উপাদান ব্যবহার করা হয়। অথচ আমরা সবাই জানি যে, অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আর আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, চিনি খাওয়া কমিয়ে দিবেন তবে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সোডা, ক্যান্ডি, মিষ্টিসহ অন্যান্য উচ্চ চিনিযুক্ত খাদ্য খাওয়া সীমিত করতে হবে। কিন্তু এরপরও এমন হবার সম্ভাবনা আছে যে, আপনি আপনার কল্পনা থেকেও বেশি চিনি খাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই চিনি খাওয়া কমানোর ব্যাপারে আরও কৌশলী হতে হবে।

চিনি খাওয়া কমানোর কিছু কৌশল-

খাবারের সঙ্গে ফলমূল মিশানো
আমরা বিভিন্ন ধরণের নাস্তা জাতীয় খাবার খাই, যা মিষ্টি ও সুস্বাদু করতে অতিরিক্ত চিনি ব্যাবহার করে থাকি। যেমন ওটমিল বা সিরিয়ালের ক্ষেত্রে এটা হয়। এসব ক্ষেত্রে চিনি না মিশিয়ে আপনি বেশি করে ফলমূল যোগ করুন। এটা আপনার খাদ্যকে মিষ্টি ও সুস্বাদু করবে। একই সঙ্গে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়াবে।

চিনিমুক্ত পানীয় পান করুন
বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এসব কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনির ব্যবহার করা হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিনিযুক্ত পানীয়র পরিবর্তে চিনিমুক্ত ও নিম্ন-ক্যালোরির পানীয় পান করুন। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি সাধারণ পানি কিংবা স্পার্কলিং পানি পান করুন।

ডেসার্ট হিসেবে ফলমূল
অনেকেই ডেসার্ট হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কুরিস বা প্যাস্ট্রিস খেয়ে থাকেন, যাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কুকিস বা প্যাস্ট্রিস এসবের পরিবর্তে ডেসার্ট হিসেবে বিভিন্ন ধরণের ফলমূল খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।

রেসিপিতে চিনি কম দিন
আমরা প্রায়ই ঘরে বিভিন্ন ধরণের রেসিপি তৈরি করি, যাতে চিনি ব্যবহার করি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রেসিপি তৈরির সময় চিনি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। বিশেষ করে কুকিস বা প্যাস্ট্রিস তৈরির বেলায় চিনি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করুন। এছাড়া আমরা সবাই নিয়মিত চা খাই। এক্ষেত্রে চিনির ব্যবহার কমাতে পারেন। তবে ভালো হয় চিনি একেবারেই বর্জন করুন।

আচার বা সসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
আমরা প্রতিনিয়ত খাবার থেকে বাড়তি স্বাদ পেতে খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের আচার বা সস ব্যবহার করি। উদাহরণস্বরূপ, কেচআপ, বারবিকিউ সস ইত্যাদি। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা হয়। চিনি খাওয়া কমাতে হলে এসব খাবার সীমিত করতে হবে। অথবা বিকল্প হিসেবে সালসা, সরিষা বা হট সস খেতে পারেন।

রেস্টুরেন্টের মেন্যু সম্পর্কে সচেতন থাকুন
আপনি নিয়মিত যেসব রেস্টুরেন্টে খাওয়া-ধাওয়া করেন সেগুলোর খাদ্যতালিকার ব্যাপারে সচেতন থাকুন। যেসব মেন্যুতে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার আছে তা পরিহার করুন।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, হার্টের ঝুঁকিসহ বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে চিনি খাওয়া কমানোর কোনো বিকল্প নেই।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: