কৃত্রিম মিষ্টিকারক দ্রব্যের বিষাক্ত প্রভাব

দৈনন্দিন বিভিন্ন খাবার এবং পানীয়তে চিনির বিকল্প হিসেবে যে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয় তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

সম্প্রতি ‘Molecules’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, খাদ্য এবং ঔষধ প্রশাসন থেকে অনুমোদিত ৬টি কৃত্রিম মিষ্টি এবং ১০টি স্বাদ-বর্ধক সম্পূরক কৃত্রিম মিষ্টি রয়েছে। যা দেহের অন্ত্রের পাচক জীবাণুগুলোর উপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলে।

ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটি এবং সিঙ্গাপুরের নানয়্যাং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষক তাদের এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য পান।

গবেষণায় জানা যায়, বাজারে কৃত্রিম চিনির বিকল্প হিসেবে স্যাকারিন, অ্যাসপার্টেম, এবং সুক্রোলস সহ অনেক কৃত্রিম মিষ্টিকারক দ্রব্য পাওয়া যায়। এসব দ্রব্যের প্রতি এক মিলিগ্রাম আমাদের দেহে প্রবেশ করলে তা পরিপাকতন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়াকে বিষাক্ত করে তুলে।

বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এরিয়েল কুশমারো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ করে যে, কৃত্রিম মিষ্টিকারক দ্রব্যগুলো অন্ত্রের মাইক্রোবায়্যাল কার্যকলাপকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

গবেষকদের মতে, দেহের বিপাক ক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়্যাল সিস্টেম’। আর কৃত্রিম মিষ্টিকারক দ্রব্য গ্লুকোজকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে মাইক্রোবায়্যাল সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

গবেষণা বলছে, কোমল পানীয় এবং মুখরোচক খাবারে চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এর ক্ষতিকর প্রভাব না জেনে তা গ্রাস করছে।

স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কারনে কিছু কৃত্রিম মিষ্টিকে পরিবেশ দূষণকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে গবেষকরা উল্লেখ করেন।

 

Share this news on: