বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ

বছরব্যাপী বাংলাদেশে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এ দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রগতির সুরক্ষা ও প্রচারে জনগণ এবং বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয় তাদের ২০২২ সালের মূল প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘ বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনাইটেড নেশনস সাসটেইনেবল কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম বছরে এ দেশে পরিচালিত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সহায়তার অগ্রগতির পাশাপাশি জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয় এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে সাড়া প্রদানের জন্য এ দেশের প্রস্তুতি, জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এবং মানবিক সাড়া প্রদানকারী অংশীদাররা জোরদার সমর্থন করেছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশ সত্ত্বেও জাতিসংঘ এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, নীতিমালা জোরদার করার পাশাপাশি কতগুলো ধারাবাহিক উদ্যোগ ও সেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অগ্রসরমান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতায় বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য সহায়তা, নিরাপদ, বৈধ ও নিয়মিত অভিবাসন, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্র জোরদার করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য জাতিসংঘ এ দেশের জনগণ ও সরকারকে অগ্রসরমান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মানবিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে ওই বছরের শেষ নাগাদ যৌথ সহায়তা পরিকল্পনার (জেআরপি) আওতায় ৮৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলারের একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক আবেদনের ৫৯ শতাংশ তহবিল (৫২০.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার) সংগৃহীত হয়। ওই
তহবিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও মৌলিক সেবাগুলো সফলভাবে প্রদান করা হয়।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়— যা তিনটি অধ্যায় নিয়ে গঠিত।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অসুস্থ চালকের জায়গায় গাড়ি চালালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Jul 06, 2025
img
যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার Jul 06, 2025
img
প্রয়োজনে পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস সরবরাহ করা হবে : ফরহাদ Jul 06, 2025
img
টলিপাড়ার দ্বন্দ্বে কাজহীন অনির্বাণ Jul 06, 2025
img
কোনো দেশে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারিত থাকার নজির নেই : সালাহউদ্দিন Jul 06, 2025
img
রেকর্ড জয়ে সিরিজে সমতা ভারতের Jul 06, 2025
img
ব্যাংকক থেকে হাতিরঝিল : সংবর্ধনা নিয়ে ফুটবলারদের বার্তা Jul 06, 2025
img
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা, চলছে গোলাগুলি Jul 06, 2025
img
৫ আগস্ট গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব : নাহিদ Jul 06, 2025
img
বিশ্বরেকর্ড গড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক Jul 06, 2025
img
ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Jul 06, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের তিন মাস সময় শেষের পথে, পরবর্তীতে কী হবে Jul 06, 2025
img
কারও উদ্যোগে ইন্টারনেট বন্ধ হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে : আইসিটি সচিব Jul 06, 2025
img
সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে যুক্তরাজ্য, বিশাল আর্থিক সহায়তার ঘোষণা Jul 06, 2025
img
কাঁদতে কাঁদতে বিমানবন্দরে পৌঁছলেন নোরা ফতেহি Jul 06, 2025
img
ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে ভালো ব্যবহার করছেন : হাসনাত Jul 06, 2025
img
আগস্টে ভারত না আসায় বিকল্প প্রতিপক্ষ খুঁজছে বাংলাদেশ Jul 06, 2025
img
আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ Jul 06, 2025
১০ মিনিটে বাংলাদেশের আলোচিত সব খবর Jul 06, 2025
img
নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতির পরিবর্তন হয়নি : শায়েখে চরমোনাই Jul 06, 2025