জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এমনকি নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ছাড়া আর কোনো ধরনের ব্যাগ বা সামগ্রী সঙ্গে আনতে পারবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা জানান।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “এখানে রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, কূটনীতিক, বিদেশি কূটনীতিক, প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষ নামাজ পড়তে আসবেন। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার লোক একত্রে এই ঈদগাহে নামাজ পড়তে পারবেন।”
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “ডিএমপির বোম্ব ডিজেল ইউনিট ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্ম থাকা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
জাতীয় ঈদগাহ মাঠকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক মুসল্লিকে আটচয়ে গেটের মাধ্যমে ঈদগাহ ময়দানে জামাতের জন্য প্রবেশ করতে হবে।”
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে ঈদগাহে জামাতে আসা মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আসার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। গেটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাইকে ধৈর্য ধরে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।