কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে মিয়ানমার চলে গেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ফলে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলাসহ সব সামুদ্রবন্দরে ১০ ও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টিপাত হতে পারে সোমবার(১৫ মে) থেকে।
আবহাওয়া অধিদফতর তাদের ২২নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশ অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমার চলে যাওয়ায় আর কোনো ঝুঁকি নেই। উপকূলীয় এলাকায় ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তবে সিলেট এলাকায় বৃষ্টিপাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সোমবার (১৫ মে) থেকে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হবে।
এর আগে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে দুপুরে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি ছিল। মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনের বেশ কিছু বাড়িঘর ও দুর্বল স্থাপনার রিসোর্ট ভেঙে পড়েছে। তবে প্রাণহানি বা অন্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ২২ নম্বর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় উপকূল অতিক্রম করেছে এবং দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়, মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।