পানি পান করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন

ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা কঠিন হতে পারে। ব্যস্ততা এড়িয়ে চলা মুশকিল, কিন্তু সারাদিন ভালো থাকার জন্য এবং আপনার স্বাচ্ছন্দ্যে করার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শক্তি বাড়াতে এবং আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন। আপনার জন্য যদি পানি পান করার কথা মনে রাখা কঠিন হয় বা পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের জন্য আরও কিছুর প্রয়োজন হয়, তবে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সকালে পানি পান করুন

সকালের কফি পান করার আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। কাজটি ছোট মনে হতে পারে, তবে একটি ভালো এবং হাইড্রেটেড দিন শুরু করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। শুধু পানি খেতে যদি ভালো না লাগে তবে অতিরিক্ত স্বাদ এবং হজম সহায়তার জন্য কিছুটা লেবু যোগ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা পানি দিয়ে তাদের দিন শুরু করেন তারা আরও সতেজ এবং সক্রিয় থাকেন।

সব সময় পানির বোতল সঙ্গে রাখুন

আপনার সঙ্গে একটি পানির বোতল রাখুন। এই অভ্যাস কেবল শিশুদের জন্য নয়, বড়দের জন্যও জরুরি। এটি আপনাকে সারাদিন পানি পান করার কথা মনে করিয়ে দেবে। আপনার পছন্দের একটি বোতল বেছে নিন এবং সঙ্গে রাখুন। এই অভ্যাস আপনার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেবে না।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

সবকিছুতেই লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। এটি আপনার পানি পানের অভ্যাসের ক্ষেত্রেও সত্যি। প্রতিদিন কতটা পানি পান করতে চান তা নির্ধারণ করুন এবং ছোট ছোট চুমুকের মাধ্যমে তা পূর্ণ করুন। প্রতি ঘণ্টায় পানীয় পান করার কথা মনে করিয়ে দিতে অ্যালার্ম বা ফোন অ্যাপ ব্যবহার করুন। এই সাধারণ পরিকল্পনা আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।

চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিন

পানির বদলে অনেকে কোমল পানীয় বা আইসড টি খেয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের পানীয়তে শর্করা এবং ক্যাফেইন থাকে, যা ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই পানির বদলে অন্য কোনো পানীয় বেছে নিলে তাতে যেন অতিরিক্ত চিনি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৩০ মিনিটের নিয়ম

খাবারের প্রায় ৩০ মিনিট আগে পানি পান করার অভ্যাস একটি কার্যকরী কৌশল। এই অভ্যাস আপনার হজমে সমস্যা সৃষ্টি না করেই আপনাকে হাইড্রেটেড রাখে। খাওয়ার সময় পানি পান করার অভ্যাস আপনার পাকস্থলীর কাজ করাকে কঠিন করে তুলতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি খেলে তা আপনাকে সতেজ থাকতে এবং খাবারকে ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করতে পারে।

পানিযুক্ত খাবার

বিশ্বাস করুন বা না করুন, কিছু খাবারেও পানি থাকে। তরমুজ, টমেটো এবং শসার মতো রসালো ফল বেছে নিতে পারেন। এগুলো আপনাকে শুধু হাইড্রেটেডই রাখে না, সেইসঙ্গে আপনার শরীরকে মূল্যবান পুষ্টি সরবরাহ করে। এ ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। সেইসঙ্গে তাজা শাক-সবজিও রাখুন খাবারের তালিকায়। বিভিন্ন ফলের জুসও আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করবে।

Share this news on: