চারিথ আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে শ্রীলংকা। দলের হয়ে ১০৫ বলে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন আসালাঙ্কা।
এছাড়া ৪১ রান করে করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮০ রান।
সোমবার ভারতের দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলংকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫ রানেই ওপেনার কুশল পেরেরার উইকেট হারায় লংকানরা। কুশল পেরেরাকে আউট করে সাজঘরে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। এক উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৬৬ রান। এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হারায় ২ উইকেট।
সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৩০ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ১৯ রান করে ফেরেন লংকান অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। এরপর তানজিদ হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তিনি ৩৬ বলে ৮টি বাউন্ডারের সাহায্যে ৪১ রান করে ফেরেন।
৭২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর শ্রীলংকার হাল ধরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে তারা ৬৯ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। এরপর শূন্যরানের ব্যবধানে ফের ২ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ৪২ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪১ রান করে ফেরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস যে হেলমেট নিয়ে মাঠে নামেন সেটা মাথায় দিয়ে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি। যে কারণে তার জন্য আরেকটি হেলমেট মাঠে নিয়ে আসা হয়। তার আগেই ৩ মিনিটের বেশি সময় চলে যায়।
নিয়মানুসারে একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যানকে মাঠে নেমে তিন মিনিটের মধ্যেই প্রস্তুত হতে হয়। ম্যাথুস সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারেননি। যে কারণে বাংলাদেশ দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আউট দেন আম্পায়ার।
১৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর শ্রীলংকার হাল ধরেন চারিথ আসালাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাদের ৮২ বলের ৭৮ রানের জুটিতে একপর্যায়ে ৫ উইকেটে লংকানদের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। এরপর ৬৬ রানে শ্রীলংকা হারায় ৫ উইকেট।
মেহেদি হাসান মিরাজকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম বলটি ধরে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। দলীয় ২১৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে চার বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৩৪ রান করে ফেরেন ডি সিলভা।
এরপর মাহিশ থিকসানাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ৩১ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২২ রান করা থিকসানাকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম।
১২.৪ ওভারে দলীয় ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন চারিথ আসালাঙ্কা। ইনিংস শেষ হওয়ার ৮ বল আগে দলীয় ২৭৮ রানে ফেরেন তিনি। তার আগে ১০৫ বলে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ১০৮ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৯তম ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। গত বছরের জুনে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ১১০ রানের ইনিংস।
সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আসালাঙ্কাকে আউট করেন তানজিদ হাসান সাকিব। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত হন আসালাঙ্কা। তার মতো ক্যাচ তুলে দিয়ে তানজিম হাসান সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন কাসুন রাজিথা। ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ৩ বল আগে রান আউট হয়ে ফেরেন দুষ্মন্ত চামিরা। তার বিদায়ে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০ ওভারে ৮০ রানে ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ৫২ ও ৫৭ রানে ২টি করে উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও অধিনায়ক সাকিব।