বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে।
 
বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।

Share this news on:

সর্বশেষ

ওসাসুনাকে হারিয়ে রিয়ালের সাথে ব্যবধান বাড়ালো বার্সেলোনা Dec 14, 2025
আইপিএল ২০২৬ মিনি নিলামে দলগুলোর কৌশল যুদ্ধ Dec 14, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি সমুদ্র সৈকতে হামলায় নিহত বেড়ে ১২ Dec 14, 2025
img
সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ: হেফাজতে ইসলাম Dec 14, 2025
img
ওসমান হাদিকে নিয়ে ‘দুঃসংবাদ’ দিলো মেডিকেল বোর্ড Dec 14, 2025
img
‘ছোট ভাই প্রটেকশন বাড়াও’, রাকসু জিএস আম্মারকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Dec 14, 2025
img
হাদির হামলাকারীরা হাসপাতালেও এসেছিল, মন্তব্য জুমার Dec 14, 2025
img
আমার মনে হয় না আমি একজন ভালো অভিনেতা: সালমান খান Dec 14, 2025
img
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই চূড়ান্ত সমাধান: চীনা রাষ্ট্রদূত Dec 14, 2025
img
রুনা লায়লার গান শুনতে না পেরে আবেগী হয়ে পড়েছিলেন নাবিলা Dec 14, 2025
এম্বাসিতে প্রবাসীদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সময় নষ্ট করেছি Dec 14, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী আচরণের অভিযোগ Dec 14, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরো ৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৭ Dec 14, 2025
img
বরিশাল শহরে শ্রদ্ধা নিবেদন ঘিরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ Dec 14, 2025
img
বারবার তফসিল পরিবর্তন ও পদত্যাগের ঘটনায় স্থবির ব্রাকসু Dec 14, 2025
img
পরাজয় নিয়ে রেসলিং ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন জন সিনা Dec 14, 2025
img
সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা Dec 14, 2025
img
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলাকারী দুইজন দেশেই আছে: ডিএমপি Dec 14, 2025
img
হাদিকে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ জনের পরিচয় জানালো ডিএমপি Dec 14, 2025