রাতে গ্রেপ্তার, ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তিন রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের টেকনাফে রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভোরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা খুন, ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি।

শনিবার ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এইচ ব্লকের হাবির গুনা পাহাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আমির হোসেনের ছেলে নুর আলম (২৩) এবং একই ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে মোহাম্মদ জুবায়ের (২০) ও ইমাম হোসেনের ছেলে হামিদ উল্লাহ (২০)।

পুলিশের দাবি, নিহত তিনজন রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তারা পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র (এলজি) ও সাটি তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের ৩ সদস্যও আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারা হলেন- এসআই স্বপন, কনস্টেবল মোহাম্মদ মেহেদী ও মং মং।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, শুক্রবার রাতে নয়াপাড়া ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল ভোর রাতে নয়াপাড়া ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদ গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় পুলিশের ৩ সদস্যও। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকারিয়া মাহমুদ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেন। কক্সবাজারে নেওয়ার পথে তিনজনের মৃত্যু হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া মাহমুদ জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে একাধিক গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল।

ওসি জানান, নিহত তিনজনের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: