কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিটের বাড়িতে দিনভর উজ্জীবিত নেতা কর্মীরা

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::::
চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সড়কে শুক্রবার সারাদিন ছোট ছোট দলে মানুষের চলাচল চোখে পড়লে প্রথমেই মনে হবে হয়তো কোন সমাবেশ চলছে ভিতরে। মাদ্রসা পার হয়ে সামনে গেলেই লাগোয়া বাড়িটি ইউছুফ কুঠির। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়ি। বৃহষ্পতিবার রাত থেকেই তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছেন। আগে থেকেই এলিটের বাড়িতে অবস্থানের বার্তা পৌঁছে যায় পুরো উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায়। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সড়কে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আম জনতার ¯স্রোত।

জানাগেছে, ২৪ মে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ইউসুফ কুঠিরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ. ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ,মৎস্যজীবিলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখেন কর্মীবান্ধব যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

এবার নিয়াজ মোর্শেদ এর নেতা কর্মীরা দ্বিগুন উচ্ছ¡াস নিয়ে তাদের সাহসের বাতিঘর এলিটের বাড়িতে জড়ো হন। নতুন করে এলিটকে সমর্থন জানিয়ে আগামী দিনে রাজনীতির মাঠে পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি জানাতে আসেন সবাই। কারন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট এখন মিরসরাইয়ের মানুষের ভরসা। যুবলীগ নেতা এলিটকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেন এখন মিরসরাই আওয়ামী দুর্গের কর্মীরা।

দুপুর ১২টায় ইউসুফ কুঠিরে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় এলিট নেতা কর্মীদের ছবি তোলার অনুরোধ রাখতে বার বার ফটোসেশনে হাসিমুখে দাড়াচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরপর প্রভেশ করে আলাদা আলাদা গ্রæপ। তাদের আপ্যায়ন তদারকি করছেন তিনি নিজে। তাদের সাথে মতবিনিময় করে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচার ও সরকারের উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে সজাগ থাকতে।

বেলা বাড়তে বাড়তে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে ইউসুফ কুঠিরে নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নেতাকর্মীদের সাথে সময় দেন সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর জৈষ্ঠ সন্তান ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান এর বড় ভাই। দুপুরে কিছুক্ষনের জন্য বিদায় নিলেও বিকেল থেকে আবার রাত ১১টা পর্যন্ত সময় দেন তিনি। মিরসরাইয়ের রাজনীতিতে একক নেতা হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়ে আসলেও বিগত ১০ বছর মোশাররফ দুর্গে ভাগ বসান এলিট। দুইজনের সম্পর্কের বৈরি পরিস্থিতির মধ্যে ইদানিং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর সাথে নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের একটি হাসিমাখা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়িায় ব্যাপকভাবে ভ্যাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।

গত সোমবার (২০ মে) নিয়াজ মোর্শেদ এলিট তাঁর ফেসবুক পেইজে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর বৈঠকের হাস্যোজ্জ্বল ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আজ প্রিয় অভিভাবকের সান্নিধ্যে’। এতে করে মিরসরাই আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মাঝে একদিকে আনন্দ উল্লাস, অপরদিকে রাজনৈতিক সৌন্দর্য হিসেবে কেউ জানাচ্ছেন অভিনন্দন। অন্যদিকে এমন দৃশ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মাঝে। ক্ষোভের আগুন না নিভতে তিনি বাড়িতে এসে মোশারফ পুত্রের সাথে ছবি দিয়ে লিখেন “ সুমু ভাই সহ সারাদিন আজ আমার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে “।



অনেকের প্রশ্ন- এটি কেমনে সম্ভব। যাকে নানান বিশেষনে অখ্যায়িত করেছেন মাত্র কিছুদিন আগে। যার ছায়া মনে হতো দুশমনের মতো। বাবার হাসির রেশ না
কাটতে এলিটের বাড়িতে ছেলের সরব উপস্থিতি। এটাই বুঝি রাজনীতির শেষ বলতে কিছু নেই প্রবাদ বাক্যের প্রমান। হয়তো মিরসরাইবাসি আগামীতে আরো নতুন কিছু দেখবে।

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি যারা করেন তারা দলীয় আদর্শ, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য শতভাগ থাকতে হবে। এখানে রাজনীতির নামে শেখ হাসিনার বাইরে কোন প্রভু নেই। তবে সিনিয়রদের সম্মান করা এটা দলীয় শৃংখ্যলা এবং পারিবারিক শিক্ষার পর্যায়ে পড়ে। আমি মিরসরাইয়ের নেতা কর্মীদের কাছে পরিষ্কার করে জানিয়ে রাখতে চাই, মিরসরাইয়ের রাজনীতিতে এখন থেকে কোন প্রভু নেই, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে আধুনিক স্মার্ট মিরসরাই গড়তে পারবেন তার উপর আস্থা রাখবেন আপনারা। মিরসরাইকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি আপনাদের সাথে আছি থাকবো। আমার কোন নেতাকর্মী অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার হলে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমান হবেন আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী : আবুল কালাম Oct 03, 2025
img
মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে ন্যাটো স্টাইলে জোট গঠনের আশা পাকিস্তানের Oct 03, 2025
img
ফ্লোটিলার অধিকারকর্মীদের জেলে পাঠানো উচিত: ইতামার বেন-গভীর Oct 03, 2025
img
চুক্তিটি না হলে হামাসের ওপর এমন নরক ফেটে পড়বে যা আগে কখনও দেখেনি: ট্রাম্প Oct 03, 2025
img
জাতিসংঘে গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন ড. ইউনূস : প্রেস সচিব Oct 03, 2025
img
টুকুর নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবির অভিযোগ, থানায় জিডি Oct 03, 2025
img
জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দেওয়া না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে : ড. আযাদ Oct 03, 2025
img
বৈরী আবহাওয়া শেষে কুয়াকাটায় পর্যটকদের গোসলে আনন্দ, সৈকতে ভিড় Oct 03, 2025
img
৫ হাজার ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তার কর্মবিরতি ঘোষণা Oct 03, 2025
img
ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : মির্জা আব্বাস Oct 03, 2025
img
ইয়ামালকে নিয়েই দল ঘোষণা স্পেনের, বাদ পড়লেন মোরাতা Oct 03, 2025
img
এক কাতারে, এক কিবলার দিকে এবং এক নেতৃত্বের অধীনে এগোতে হবে Oct 03, 2025
img
‘সোলজার’ সিনেমার ফটো শুটে অংশ নিলেন শাকিব-তিশা! Oct 03, 2025
img
প্রায় ৫০০ বছর পর ক্যান্টারবেরির প্রথম নারী হিসেবে আর্চবিশপ মনোনীত হলেন সারা Oct 03, 2025
img
রেকর্ড ভাঙতে পারে পপ তারকা টেলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম Oct 03, 2025
img
বিএনপি বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয় : জুয়েল Oct 03, 2025
img

ভারত সফর নিয়ে পুতিন

‘প্রিয় বন্ধু মোদির সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছি’ Oct 03, 2025
img
ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা মুসলিম দেশগুলোর নয়: পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 03, 2025
img
ইংল্যান্ড দলে ফিরলেন সাকা, বাদ পড়লেন বেলিংহ্যাম ও ফোডেন Oct 03, 2025
img
জাতিসংঘ সফরে ৬ সাফল্যের কথা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব Oct 03, 2025