বগুড়ায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ২৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
 
রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে বগুড়া সদরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান অলিউল্লাহ।

নিহতরা হলেন অলোক, আতশী, নরেশ, রনজিতা এবং আরেকজন নারী হাসপাতালে মারা গেছে, তার নামপরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ওসি সাইহান অলিউল্লাহ বলেন, ‘বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা খুব ব্যস্ত আছি। পরে জানাচ্ছি।’

রথযাত্রীরা জানান, সেউজগাড়ী ইসকন ম‌ন্দির থেকে রথযাত্রা‌টি‌ বিকেল ৫টায় বের হয়। পথিম‌ধ্যে সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে র‌থের গম্বুজ‌টি রাস্তার উপরে থাকা হাইভোল্টে‌জের বৈদ্যুতিক তা‌রের সংস্প‌র্শে আসে। র‌থের গম্বুজ‌টি স্টি‌লের হওয়ায় বৈদ্যুতিক তা‌রের সংস্প‌র্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা‌রে আগুন লে‌গে যায়। এ সময় র‌থে থাকা এবং আশপাশের অন্তত ২৫ জন আহত হন। প‌রে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান‌ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নি‌য়ে যাওয়ার পর পাঁচজন মারা যান।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার লিটন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ। আমি এই মুহূর্তে হাসপাতালে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

উল্লেখ্য, বগুড়া শহরে প্রতিবছর রথের শোভাযাত্রা শুরু হয় শহরের সেইজগাড়ী এলাকা থেকে। শোভাযাত্রাটি বনানী এলাকায় গিয়ে আবার ফিরে আসে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন আগামী ১৫ জুলাই বিকেল ৩টায় উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামিন পেলেও ছাড়া পাননি বাসদ নেতা জাফর ও প্রণব Sep 30, 2025
img
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে: মির্জা আব্বাস Sep 30, 2025
img
খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত Sep 30, 2025
img
রূপপুরের জ্বালানি পৌঁছেছে দেশে, পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে ডিসেম্বরে Sep 30, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট Sep 30, 2025
img
নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের কড়া বার্তা দিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Sep 30, 2025
img
মাইনর স্ট্রোক করেছেন বাংলাদেশের হেড কোচ Sep 30, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের পূর্বাভাস, বৃষ্টি বাড়তে পারে Sep 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত Sep 30, 2025
img
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগসহ অঙ্গসংগঠনের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 30, 2025
img

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পবিত্রতা বজায় রেখে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের আহ্বান Sep 30, 2025
img
রাজশাহীতে শর্তসাপেক্ষে বাস শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার Sep 30, 2025
img
পুতিনের উচিত ছিল এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা: ট্রাম্প Sep 30, 2025
img
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ Sep 30, 2025
img
এসিসিতে নতুন দায়িত্ব পেলেন বিসিবি সভাপতি Sep 30, 2025
img
নির্বাচন কমিশন স্বৈরাচারী ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে: পাটওয়ারী Sep 30, 2025
img
বিসিবি নির্বাচন বয়কট করতে যাচ্ছেন ১৫ ক্লাবের প্রার্থীরা Sep 30, 2025
img
আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা Sep 30, 2025
img
ফিলিপাইনে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত Sep 30, 2025
img
দল থেকে বহিষ্কার উপজেলা জামায়াতের আমির Sep 30, 2025