সুদানে বিক্ষোভের মুখে সামরিক প্রধানের পদত্যাগ

তিন দশক ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসা সুদানের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা ও নবগঠিত সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আওয়াদ ইবনে আউফ জনতার বিক্ষোভের মুখে একদিনের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি ঘোষণায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবনে আউফ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুদানে কারফিউ ভেঙে জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করার পর তিনি এ ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, বশিরের বিদায়ে সামরিক শাসন নয়, বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমর আল-বশিরের সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবনে আউফ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাতাহ আবদেল রহমান বুরহান।

জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুদানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরাতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সেনাবাহিনী দৃশ্যত প্রেসিডেন্টের পক্ষে থাকায় সম্প্রতি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেনাসদরের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার সেনা অভ্যুত্থানের খবর আসে। ওই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আওয়াদ ইবনে আউফ। তবে তাকেও বশিরের ঘনিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে রাজপথে অবস্থান ধরে রাখে বিক্ষোভকারীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

২০০০ সালে দারফুরে সংঘাতের সময়ে সুদানের সামরিক গোয়েন্দা শাখার প্রধান নিযুক্ত হন আওয়াদ ইবনে আউফ। ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

আউফের পদত্যাগকে নিজেদের বিজয় আখ্যা দিয়েছেন সুদানের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন সুদানের পেশাজীবী সংস্থা। সেনাবাহিনী দুই বছর ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিলেও বিক্ষোভকারীরা বেসামরিক শাসনের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন আশিস কাপুর Sep 18, 2025
img
ভোলায় পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, ২ যুবক গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
হানিয়ার সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন এখন হাতের নাগালে! Sep 18, 2025
img
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান! Sep 18, 2025
img
ঢাকায় দিনের শুরুতে থাকবে আংশিক মেঘলা, হতে পারে হালকা বৃষ্টি Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 18, 2025
img
তাহসানের লিরিক্সে রোজার মুঠোবন্দি রোমান্টিক ছবি পোস্ট Sep 18, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন মাত্রা Sep 18, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ পুলিশ সদস্যের Sep 18, 2025
img
সুখবর দিলেন হান্নান মাসউদ, হাতিয়ায় ফেরী চলাচল শিগগিরই Sep 18, 2025
img
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি Sep 18, 2025
img
সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Sep 18, 2025
img
গাজায় শেষ চালু থাকা হাসপাতালের কাছে হামলা, প্রাণ হারাল ১৯ Sep 18, 2025
img
দশ বছরে সর্বনিম্ন ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় Sep 18, 2025
img
রাকসু নির্বাচন : হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি Sep 18, 2025
img
তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে : সৃজিত Sep 18, 2025
img
আজ লিবিয়া থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরছেন আরও ১৭৬ জন বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
সন্ধান মিলেছে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির Sep 18, 2025
img
চ্যালেঞ্জ কাপে কিংসের দ্বিতীয় শিরোপা, নাকি মোহামেডানের প্রথম Sep 18, 2025