ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে।
আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি কার্যত পশ্চিম জেরুজালেমের ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করছিলেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান বড় ভুল করেছে এবং এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে তার শত্রুদের আঘাত করবে; তা গাজা, লেবানন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন—যেখানেই হোক এবং এই তালিকা আরও বড় হতে পারে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের পাল্টা আঘাত তাদের নির্বাচিত সময় ও স্থানে দেয়া হবে। অবশ্য এমন কথা ইরানের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু জবাবের নির্দেশনা দিলে পাল্টা হামলা হবে। তবে এবারের হামলা জবাব না দিয়ে ছাড় দেয়া হবে না।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, গত এক বছরে কোনো শিক্ষা নেয়নি ইরান।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা নেয় তারা।
লেবানন ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলে এ হামলা চালাল ইরান। গত সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। হামলায় সোমবার এক দিনেই লেবাননে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সপ্তাহ দুয়েক আগে ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহকে নিশানা করে হামলা জোরদার করলে দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহও রয়েছেন।