বৃষ্টিপাতের দাপট কমে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। এতে বেড়েছে রাজধানীর বায়ুদূষণের মাত্রা। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষ তিন নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল ৯টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচক থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে। যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে। বুধবার সকাল ৯টায় আইকিউএয়ার সূচকে দূষণের শীর্ষে থাকা শহরগুলোর মধ্যে সবার ওপরে অবস্থান করছে ইরাকের বাগদাদ। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২১৫। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে তালিকার দুই নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ১৭৯। বাতাসের এই মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া তালিকার শীর্ষ তিনে থাকা ঢাকার বাতাসের মান ১৭৩। এই মানও নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অবস্থায় নগরবাসীকে ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।