অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে, নির্বাচনে দরকার হতে পারে নিরপেক্ষ সরকার। বিবিসি বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও মনে করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবনা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, সংস্কার প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়াসহ আরও নানা বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন মির্জা ফখরুল। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার ও চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে নিজের এবং দলের অববস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
এ সময় আওয়ামীলীগের নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আসতে পারলে আসবে, না আসতে পারলে আসবে না। দ্যাটস নট মাই পয়েন্ট। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো কথা নেই। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটা দলগুলো নিজেরাই ঠিক করবে। তখনকার সেটআপ ঠিক করবে, ইলেকশন কমিশন ঠিক করবে। আমরা কথাটা খুব পরিষ্কার করেই বলছি যে, আমরা মনে করি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব আমাদের না।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক গঠন করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান পড়তে পারে চ্যালেঞ্জের মুখে।
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে বিএনপির সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তোলেন, অভ্যুত্থানের পাঁচমাস পরে এই ডিক্লারেশনের কোনো যুক্তি আছে কি-না? ঘোষণাপত্রের বিষয়টি সরকারি কর্মকর্তাদের চাকুরি ফিরিয়ে দেবার মত ব্যাপার কিনা এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
বলেন, এটা একটা অভ্যুত্থান বা আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ডিক্লারেশন তখনই হওয়া উচিৎ ছিল। এটা ছাত্ররা তারা দিতেই পারে। কিন্তু আমরা ওটার পার্ট তখনই হবো, যখন গোটা জাতির প্রশ্নটা তার মধ্যে আসবে। কোনো আলোচনা না করে এটা করার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
টিএ/