গত ২১ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর এক সমন্বয়ককে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে পরদিনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্ত পুলিশের প্রতিবেদনে জানা যায়, এক মেয়েকে ভালোবাসতেন দুই ব্যক্তি। আর এর জেরেই ঘটে এই হামলার ঘটনা।
মূল ঘটনার ব্যাপারে নগরের বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, এটা সম্পূর্ণ বাইরের ঘটনা ছিল। দুই ছেলে এক মেয়েকে পছন্দ করেন। এই প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টন নামের দুই তরুণের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ঘটনায় ষষ্ঠিতলা এলাকায় ওই রাতে মিল্টনকে ধরে আনেন হৃদয়। সেখানে হৃদয়ের দুলাভাইও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন ধাওয়া দিলে হৃদয়ের দুলাভাই ছাত্রাবাসে গিয়ে ওঠেন। মেসে আটকে রাখার খবর পেয়ে হৃদয়ের লোকজন এসে হামলা করেন।
আহত নুরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। এ ছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৭ সদস্যের কমিটির একজন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী শহরে তাঁর আত্মীয়ের বাসায় আছেন।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নগরের কাদিরগঞ্জ ষষ্ঠিতলা কিউট ছাত্রাবাসে নুরুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। হামলায় তিনি বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীসহ কিউট ছাত্রাবাসের মালিক আতঙ্কের মধ্যে আছেন। ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীন বলেন, ‘একটা প্যানিকের মধ্যে আছি। সবাই তো বাইরে থেকে পড়তে এসেছে। মেসে ঢুকে যেভাবে হামলা করেছে, এটা আন্দাজও করতে পারিনি। এর আগে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কখনো আমি দেখিনি। তাদের ছাত্রও মনে হয়নি। শুনেছি, এরা হেতেম খাঁ এলাকার লোকজন। একটা প্রেমঘটিত সমস্যা থেকে এই হামলা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের মেসের কেউ আগে থেকে কিছুই জানত না।’
টিএ/