২০ বছর আগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বড়ভাই আলম। ঠিক তার ২০ বছর পর কৃষি কাজ করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছে ছোট ভাই হাবিল। বিএসএফ এর নির্মমতার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো চাপাই নবাবগঞ্জের তেলকুপি সিমান্তে।
ভোর ৪টার দিকে সীমান্তের কাছে নিজের জমিতে গমের ক্ষেতে পানি দিতে গিয়েছিলেন হাবিল। হঠাৎ করেই বিএসএফ তাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে, এতে আহত হন হাবিল। আহত অবস্থায় প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহীতে পাঠানো হয় তাকে।
এ ঘটনায় আহত হাবিলের পরিবার জানায়, হাবিল চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিলেন না। ২০০৩ সালে ঠিক একইভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল পরিবারের বড় ছেলে আলমকে। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় আলমের মরদেহও বিএসএফ ভারতে নিয়ে গিয়েছিল, যা পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়। আজও সেই হত্যার বিচার হয়নি।
নিহত আলমের ভাগনি মৌসুমী খাতুন বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই। সরকারের কাছে অনুরোধ, সীমান্তে এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি । ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, কুয়াশার মধ্যে কিছু চোরাকারবারি সীমান্ত পার হচ্ছিল। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে হাবিল আহত হন। তবে ঘটনাস্থলে বিজিবি উপস্থিত হলে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।
টিএ/