সুস্বাস্থ্য রক্ষায় খালি পেটে দৌড়ান

নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং দৌড়ানো মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তির উৎস। সুস্থ থাকতে নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বা দৌড়ালে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। তাই চিকিৎসকেরা নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন।
এতে ওজন যেমন কমে, তেমনি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অনেকে দ্বিধায় থাকেন, কখন দৌড়ালে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে? একদম খালি পেটে? নাকি কিছু খেয়ে তারপর? এ বিষয়ে নানা মত আছে। ইংল্যান্ডের নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, ভোরবেলা খালি পেটে হাঁটা বা দৌড়ানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে খালি পেটে দৌড়নোর পরামর্শই দিচ্ছেন গবেষকরা। তাদের মতে, খালি পেটে দৌঁড়ালে তলপেটের মেদ খুব তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। ওজনও দ্রুত কমে। খালি পেটে দৌঁড়ালে কিংবা হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দৌড়নোরই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।

সকালে খালি পেটে অন্তত ১৫ মিনিট দৌড়ালে হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে। গবেষকেরা জানান, দৌড়ালে এন্ডরফিন নামক ‘সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন’-এর নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে মন মেজাজও ভাল থাকে। হাঁটাহাঁটি করলে অক্সিজেন কোষে কোষে পৌঁছয় এবং অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।

খালি পেটে দৌড়ানো ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, শরীরে যেন পানির ঘাটতি না হয়। দৌড়নোর মাঝেমাঝে বিশ্রাম নিয়ে অল্প অল্প করে পানি খেতে হবে। দৌঁড়ালে প্রচুর ঘাম হয়ে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। হুট করে ‘মাসল ক্র্যাম্প’ শুরু হয়ে যায়। তাই এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

Share this news on: