শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে শবে বরাতের কারণে মুদি বাজারেও এখন ক্রেতার ভিড় বেশি। তবে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে।
রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মাংসের দোকানে ক্রেতার ভিড় বেশি। অন্য সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। দরদাম করলে আরও ২০-৩০ টাকা কমেও কিনতে পারতেন ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ দোকানে এখন দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০০ টাকা। কিছু দোকানে একদাম আবার কোথাও ১০-২০ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন বাজারসহ পাড়া-মহল্লায় বেশ কিছু অস্থায়ী মাংসের দোকান দেখা গেছে। অনেক দোকানে আগের মতো ৭৫০ টাকা কেজিতেও মাংস বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগের খোরশেদ মাংস বিতানে বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। সকাল সকাল দুইটা গরু জবাই দিয়েছি, বিক্রি শেষ। তবে আমরা আগের দামে মাংস বিক্রি করছি। কেউ হাড় কমিয়ে নিলে দাম একটু বেশি পড়ছে।
এদিকে গরুর মাংসের পাশাপাশি ক্রেতার ভিড় বেড়েছে মুরগির মাংসের দোকানেও। ফলে ক্রেতাদের প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির দরও গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা।
অন্যদিকে শবে বরাতে চিনি, তেল, দুধ ও মসলার মতো পণ্যের বিক্রিও বেড়েছে। তবে তেল ছাড়া অন্য পণ্যের দাম বাড়েনি।
এদিকে এখনো সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের বাজারে। প্রায় মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিন তেলের দর বেড়ে গেছে। এতে অনেকেই দোকানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
অন্যদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল ও ছোলার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।