এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশ–কোরিয়া ভবিষ্যৎ সম্পর্ক’ নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত জানান, এলডিসি-পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৬ সালের আগেই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে চায়।
সেমিনারে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান, অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি, এশিয়া ফাউন্ডেশনের দক্ষিণ কোরিয়ার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. সং কুয়ানজিন ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
সেমিনারে বক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ ঝুঁকির শঙ্কার কথা বলেন। তারা ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের সামনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকট, জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং দক্ষিণ এশিয়া ঘিরে উত্তেজনা। এই অঞ্চলে রয়েছে পরাশক্তিদের প্রভাবের খেলা। পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংকটের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। সে কারণে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান। এ ক্ষেত্রে আগে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে নিরাপদ করতে হবে।
অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়িক সংকট বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন শুল্কনীতি, যা পুরো বিশ্বকে ভোগান্তিতে ফেলছে।
ইএ/টিএ