পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পালটাপালটি মামলায় জড়িয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমীন সিকদার(৫) বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসানসহ ৮ আইনজীবীকে সাক্ষী করা হয়। এ মামলার আসামিরা হলেন- মো. মাহবুবুর রহমান সুজন (৩৯), মো. মিজানুর রহমান (৩৮), মিজান মাস্টার (৪৮), এসএম তৌফিক হোসেন মুন্না (৪১), মো. আরিফ হোসেন (৪৫), মো. সাহাবুদ্দিন (সাবু) (৪৪), মো. আরিফুর রহমান রিয়াজ (৪৪), মো. নাজমুল আহসান মুন্না (৪৮), মো. মজিবুল হক বিশ্বাস রানা (৪২), শরীফ মো. সালাহউদ্দিন, মো. ইমরান হোসেন বাদল (৪০), মো. আবু জাফর খান (৫০)।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বুধবার বিকেলে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন তপন জানান, ' এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসানের সাথে কথা বলে একটা মীমাংসা করে দিয়েছি। তবে এরপরও মামলা হবে এমনটা প্রত্যাশা করি নাই। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত বোধ করছি।'
এ মামলায় পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সরকারি কৌঁসুলিসহ (পিপি) জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। এদিকে এ মামলার আসামি বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. আশিকুর রহমান আপসের শর্তে তাদের জামিন দেন।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর হামলা করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এতে একজন পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি)সহ জামায়াতের ল' কাউন্সিলের তিন আইনজীবী আহত হয়েছেন।