নতুন শহীদ মিনার তৈরী করায় পুরোনোটি ভেঙে ফেলা হয়। আর সেই ভেঙে ফেলার দৃশ্য টিকটকে ছাড়েন স্কুলের এক শিক্ষার্থী। তাতেই যতো কান্ড। সারাদেশে রব ওঠে শহীদ দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা না জানিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শহীদ মিনার।
ভাষা দিবসে এমন দৃশ্য দাগ কেটেছে অনেকের মনেই। আবার অতি উৎসাহী হয়েও অনেকে মুখরোচক ক্যাপশনে শেয়ার করেছেন ভিডিওটি। তবে সবশেষে জানা গেলো শহীদ মিনার ভাঙার এ দৃশ্যটি একেবারেই বিভ্রান্তিকর তথ্য। নতুন শহীদ মিনার তৈরী হয়েছে তাই ভেঙে ফেলা হচ্ছিলো পুরোনো শহীদ মিনার। আর সেই ভাঙার দৃশ্যই নানা বাহারি ক্যাপশনে শেয়ার করেছেন অনেকে। মূলত এই ভিডিওটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
মূল ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, টিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিকারী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনেই সুন্দর টাইলস করা একটি শহীদ মিনার। তার পাশেই কংক্রিটের স্তূপ, যেখানে পুরাতন শহীদ মিনার ছিল। মূলত বিদ্যালয়ের সামনে পাশাপাশি দুটি শহীদ মিনার ছিল। বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ সংকট থাকায় পুরাতন শহীদ মিনারটি ভেঙে অপসারণ করা হয়েছে।
পুরাতন শহীদ মিনারটি ভাঙার সময় সাব্বির নামের এক শিক্ষার্থী এই ভিডিওটি ধারণ করেন। জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের পুরাতন শহীদ মিনারটি অপসারণ করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেন ওই ভিডিওটি ধারণ করে তার টিকটক আইডিতে পোস্ট করে। পরবরতীতে সেই ভিডিও ডাউনলোড করে অপপ্রচার চালানো হয় বিভিন্ন ফেসবুক আইডি এবং পেইজ থেকে।
এ বিষয়ে ভিডিও ধারণ করা শিক্ষার্থী সাব্বির গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওটি পোস্ট করা আমার ভুল হয়েছে। আমি বুঝতে পারিনি এটি এতো ভাইরাল হবে। টিকারী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. শিহাব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে নতুন একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। তার পাশেই পুরাতন শহীদ মিনার, যেটা জরাজীর্ণ ছিল। এছাড়া বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ স্বল্পতা এবং পাশাপাশি দুটি শহীদ মিনার থাকার কারণে পুরাতন শহীদ মিনার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এ কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই শহীদ মিনার ভাঙা হয়।