অবশেষে মোদির দেখা পাবেন ইউনূস?

তবে কি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পেতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী? বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ও নরেন্দ্র মোদি যোগ দেয়ার কথা নিশ্চিত করার পর থেকেই তাদের সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

ঢাকা-দিল্লি চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা দেখছে দুই দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিচ্ছেন থাইল্যান্ডের বিমসটেক সম্মেলনে। এরই মধ্যে সরকারিভাবে খবরটি থাইল্যান্ড সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।

একইভাবে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসও। থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩ ও ৪ এপ্রিল। ওই সম্মেলন থেকেই বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।

আকস্মিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মো. ইউনূসকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনবার্তা পাঠালেও বরফ গলেনি ঢাকা-দিল্লির। প্রতিবেশী দেশের দুই নেতা শীতল কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ করতে ফোনালাপ করলেও এখনও সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। কাজেই বলা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এবারই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নরেন্দ্র মোদি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও হাজির হয়েছিলেন দুই নেতা। তবে নরেন্দ্র মোদির দেশে ফেরার পর নিউইয়র্কে পৌঁছান মুহাম্মদ ইউনূস। অবশ্য সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

সম্প্রতি তোহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। চলতি মাসে ওমানের মাসকটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে মিলিত হন দুই প্রতিনিধি। সেখানে আসন্ন বিমসটেকের আসরে দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ভারত এখনও যেমন শেখ হাসিনাকে বহাল তবিয়তে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে তেমনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অব্যাহত রেখেছে মিথ্যাচার।

অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া ও ভারত থেকে তার রাজনৈতিক উস্কানিমূলক বক্তব্যে রাশ না টানায় ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন বাংলাদেশের জনগণ। শেখ হাসিনাকে দেশে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক দাবিও জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনো উচ্চবাচ্য করেনি মোদি সরকার।

Share this news on:

সর্বশেষ