পদত্যাগের একদিন পর, আজ (বুধবার) তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছেন। তার এই স্বচ্ছতা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হলো—
উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি।
উক্ত হিসাবে ১০,০৬,৮৮৬ (দশ লক্ষ ছয় হাজার আটশত ছিয়াশি) টাকা জমা হয়েছে এবং ৯,৯৬,১৮৮ (নয় লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার একশত আটাশি) টাকা উত্তোলিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।
আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর হিসাবে ৩৬,০২৮ (ছত্রিশ হাজার আটাশ) টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।
এছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যেকারো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে উক্ত তথ্য যাচাইযোগ্য।
পোস্টের সঙ্গে তার সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের ছবিও যুক্ত করেন তিনি।