এখন থেকে প্রবাসীরা শুধুমাত্র জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করেই পাসপোর্ট ইস্যু, রি-ইস্যু এবং তথ্য সংশোধন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্বের পরিপত্রের ১ (ঘ) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বলা হয়েছে— ‘জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে তথ্য সংশোধনপূর্বক বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যু/রি-ইস্যুর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স সংশোধনের সর্বোচ্চ ৮ বছরের ব্যবধান পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।’
পরিপত্রে উল্লেখিত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের সঙ্গে যদি আবেদনকারীর নামসহ অন্যান্য তথ্য না মিলে সেক্ষেত্রে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হতো না। এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর নামের বানানসহ সব তথ্য অভিন্ন থাকতে হবে। তথ্যে মিল না থাকলে আবেদন গ্রহণ করা হতো না। সেক্ষেত্রে তথ্য ভিন্ন ভিন্ন হলে সংশোধন করে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হতো।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, পাসপোর্ট করতে হলে এনআইডি জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার সংযুক্ত। যদি আবেদনকারীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে অমিল থাকে তাহলে ওই পাসপোর্ট আর ইস্যু হয় না। আগে এ ধরনের সমস্যা হলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে উপযুক্ত সার্টিফিকেট দেখিয়ে নাম সংশোধন করানো যেতো। তবে এখন থেকে প্রবাসীরা শুধু জন্মসনদ দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন এবং সংশোধন করতে পারবে।