আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আমাদের বীর সন্তানদের ওপর পৈশাচিক আক্রমণের জন্য যারা দায়ী, তাদের মধ্যে যারা আর্কিটেক্ট, মাস্টারমাইন্ড এবং সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের আমরা ধরা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের হলরুমে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় ভিজ্যুয়ালি যুক্ত হন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেকে। কর্মশালায় রংপুর বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সব ডিসি ও বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সত্যিকার অর্থে যারা এই গণহত্যায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের বিচার নিশ্চিত করা। গোটা পুলিশ বাহিনী নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ৫০ জনের কিছু বেশি পুলিশ সদস্যকে আমরা আসামি করেছি। অথচ বাংলাদেশে ২০০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
এর সাথে হাজার হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য জড়িত ছিলেন। ২৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে, নৃশংসতার মাত্রা আপনারা কল্পনা করতে পারেন। কারণ আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন। আমরা কিন্তু হাজার হাজার পুলিশকে ধরছি না।এটার বার্তা হলো এটাই যে বাকিদের ঢালাওভাবে আমরা শিকারে পরিণত করব না।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কনস্টেবল পর্যায়ের কাউকে ধরতে চাই না। যারা হুকুমদাতা মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও তার পরবর্তী এরা ছিল তাদের ধরব। আমি আশ্বস্ত করে বলতে চাই, তারা যে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন তার প্রমাণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে আছে।’