পরীক্ষা চলার সময় নিকাব পরা এক ছাত্রীর ‘পরিচয় শনাক্ত’ নিয়ে সমালোচনা শুরুর পর এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরা ছাত্রীদের ‘পরিচয় শনাক্ত’ করা হবে। তাছাড়া পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময় হলে নিকাব খুলে পরিচয় শনাক্ত করা নিয়ে তিনি বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। এরপরই নতুন বিতর্ক ওঠে ‘পরিচয় শনাক্ত’ নিয়ে।
এরপর রাতেই ডিনস কমিটির সভায় নতুন সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা বা নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরা ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্ত করতে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে।