উশৃঙ্খল জনতাকে বাহিনী দিয়ে কন্ট্রোল করা যায় না। এমন মন্তব্য করেছেন খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বলেন, “জনগণ উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলে সমস্যা। বাহিনী দিয়ে কন্ট্রোল করা যায় না।“ এসময় জনগণের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও মব জাস্টিসের ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সম্প্রতি গুলশানে একটি বাসায় মব হামলা, ভাটারা এলাকায় তিনজনকে মারধর এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাতির গুজবে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মব জাস্টিসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতন হওয়া জরুরি। গত ছয় মাসে মব জাস্টিসের ঘটনা কমেনি, বরং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে। তবে, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, "যেমন পরিবার-পরিজন সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালিত করে, তেমনি গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব রয়েছে মব জাস্টিস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি করা। এছাড়া, বাসাবাড়িতে হঠাৎ অভিযান চালানো এবং মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া এ ধরনের অভিযান পরিচালনার কোনো বৈধতা নেই। একই সঙ্গে, ঈদের সময় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনবল ও যানবাহনের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পর্যটন নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এসএম/টিএ