ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে নিজ বাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে আছি।’
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে নানা সমস্যা আছে। ইদানীং ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের অপরাধ খুন, ডাকাতির মতো অপরাধের সংখ্যা খুবই কম। বিগত বছরের পরিসংখ্যান দেখলে অথবা অন্য দেশের বড় বড় শহরের অপরাধের চিত্রের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের অপরাধের চিত্র কম।’
পুলিশের জনবলের স্বল্পতা থাকার তথ্য জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর ঢাকাবাসীর অনেকে নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। আপনারা যখন বাড়ি যাবেন, তখন নিজ দায়িত্বে ফ্ল্যাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আজ শনিবার রমজানের ৭ তারিখ। তারাবিহ সাতটি হয়ে গেছে। ঢাকাবাসী তারাবিহর নামাজ পড়তে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবিহতে সময় লাগে। সে সময়টায় একটি জনশূন্যতা রাস্তাঘাটে দেখা যায়। এ সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসবেন।’
শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘নগরীর যে ক্রাইম, সেটি হচ্ছে স্ট্রিট ক্রাইম। মুঠোফোন টান দেওয়ার মতো সহজ কোনো ক্রাইম করা যায় কি না, জানি না। পকেট থেকে মানিব্যাগ টান দেওয়া কিন্তু ঝুঁকি। এমনও মুঠোফোন আছে, যার দাম লাখ টাকা। আমরা খবর পাচ্ছি, মুঠোফোনগুলো বর্ডারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।’
শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীরা মুঠোফোন টান দেয়। উঠতি বয়সের ছেলেরা, আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি, তারা বাসের যাত্রী, প্রাইভেট কারের যাত্রী, মোটরবাইকের চালকদের মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এ ধরনের অপরাধকে বলা হয় স্ট্রিট ক্রাইম।’
এসএম