‘পাকিস্তান ক্রিকেট যেন এক গভীর জঙ্গল’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ—একাধিক বড় টুর্নামেন্টেই প্রায় একই রকম পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে দলটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট। এই অবস্থার জন্য অতীতের অতিরিক্ত পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন বর্তমান প্রধান কোচ আকিব জাভেদ।

আকিব জাভেদের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে তাকে ‘ভাড়’ বা জোকার বলে ডেকেছিলেন সাবেক কোচ জেসন গিলেস্পি। একসময় তিনি ছিলেন দলের টেস্ট কোচ। এবার গিলেস্পির পক্ষ পাকিস্তান ক্রিকেটকে একহাত নিয়েছেন আরেক সাবেক কোচ মিকি আর্থার। ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এনে দেয়া এই কোচ সরাসরিই পিসিবিকে জঞ্জাল বলে উল্লেখ করেছেন।

টকস্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিকি আর্থার গিলেস্পির পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘জেসন গিলেস্পি একজন দারুণ কোচ, অসাধারণ একজন মানুষ। পাকিস্তান ক্রিকেট বারবার নিজেই নিজের ক্ষতি করছে। এটি নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু।’ সাবেক এই কোচের মতে, পাকিস্তান ক্রিকেট যখন তারা হোয়াইট-বল ও রেড-বল ফরম্যাটের জন্য গ্যারি কারস্টেন ও জেসন গিলেস্পিকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় তখন পর্যন্ত তারা সঠিক পথে ছিল।  

‘পাকিস্তানে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে; তাদের এখন যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে; অনেক তরুণ প্রতিভা রয়েছে। তাদের দক্ষতা অসাধারণ। কিন্তু তারপরও সবকিছু বিশৃঙ্খল। এটি সত্যিই হতাশাজনক। যখন তারা গিলেস্পি ও কারস্টেনকে নিয়োগ দিয়েছিল, আমি ভেবেছিলাম তারা একেবারে সঠিক পথে যাচ্ছে। তাদের দলে বেশ কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষতিটা খেলোয়াড়দেরই হয়।’

টকস্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে মিকি আর্থার সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যমের প্রতিও। আর্থার মনে করেন পাকিস্তানি গণমাধ্যম দেশটির ক্রিকেটে রাজনীতির অন্যতম প্রধান কারণ, ‘তাদের সত্যিকারের ভালো কোচ ছিল, যারা দলকে এগিয়ে নিতে পারত। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের যে চালিকাশক্তি আছে, তা বারবার সবকিছু নষ্ট করে দেয়। আর গণমাধ্যমে বিভিন্ন এজেন্ডা চালিত হয়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি যেন এক গভীর জঙ্গল। আমি গ্যারি ও জেসনের জন্য ভীষণ দুঃখিত বোধ করছি। কোনো সন্দেহ নেই যে, তাদের পরিকল্পনাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আর এতে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট ও তাদের খেলোয়াড়রা।’

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে Dec 05, 2025
img
অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম Dec 05, 2025
img
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ Dec 05, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন আজ Dec 05, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ সারাদেশে দোয়া-প্রার্থনা Dec 05, 2025
img
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত Dec 05, 2025
img
ধূমপানের চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে রান্নার ধোঁয়া, কিভাবে? Dec 05, 2025
img
সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের Dec 05, 2025
img
৫ ডিসেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Dec 05, 2025
img
পপকর্ন খেয়েও কি ডায়েট করা যায়? Dec 05, 2025
img
দোনবাস না ছাড়লে রাশিয়া শক্তি দিয়ে দখল করবে : পুতিন Dec 05, 2025
img
ফের দক্ষিণ সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা Dec 05, 2025
img
গরম ডাল-ভাতের সঙ্গে লেবু চিপে খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? Dec 05, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্যারিবিয়ান সাগরে প্রাণ হারাল ৪ Dec 05, 2025
img
বিলম্ব হতে পারে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় Dec 05, 2025
img
মধ্যরাতে এভারকেয়ারের সামনে উৎসুক জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ভীড় Dec 05, 2025
img
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেল পাকিস্তানি নাগরিক Dec 05, 2025
প্রস্তুত বুলেটপ্রুফ জিপ, দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Dec 05, 2025
img
অফিসের কাজে আগ্রহ পাচ্ছেন না? জেনে নিন কারণগুলো Dec 05, 2025
img
দেশ পুনর্গঠনে ৩০০ মিলিয়ন রুপি অনুদান দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট Dec 05, 2025