বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করে দেবে সরকার। ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে যেসব চিকিৎসক কর্মরত থাকেন, তাদের একটি বেতন কাঠামো বা পে-স্কেল দাবি করা হয়েছে। আসলে তাদের পে-স্কেল দেওয়াটা একটা দুরূহ বিষয়। কারণ, এটি ইউনিফর্ম কাঠামো নয়। ঢাকা, বিভিন্ন মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা শহর, বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের বেতনক্রম ভিন্ন হবে।”
তিনি বলেন, “তবে চিকিৎসকদের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব দেব। বেসরকারি যেসব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই আমরা একটি সর্বনিম্ন বেতন চিকিৎসক এবং চিকিৎসকদের সহায়ক নার্সসহ অন্যদের জন্য প্রণয়নের চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে আমরা অল্প দিনের মধ্যেই সর্বনিম্ন বেতন ঘোষণা করতে সক্ষম হব।”
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান আরও বলেন, “চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর স্বাস্থ্যখাতের সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখেন সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। হাসপাতালে জনগণ চিকিৎসা বঞ্চিত হোক আমরা কেউ তা চাই না। সাধারণ মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
টিএ/