সিরাজগঞ্জে স্কুলে পড়তে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নাড়ুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাঝে চার দিন সামাজিকভাবে শালিসের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত রবিবার সকালে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় গত বুধবার। ওই দিনই গভীর রাতে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে শিশুটি ভর্তি করেন স্বজনরা।
ঘটনার প্রসঙ্গে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, বাড়ির পাশে এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত (আচঁল) একটি স্কুলে ৭ বছর বয়সী ওই শিশুটি পড়াশোনা করে।
ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রী সেখানে শিক্ষকতা করেন। পাঠাদানের পাশাপাশি স্কুলটিতে শিশুদের সাঁতার শেখানো হয়। ঘটনার দিন সকালে স্কুলে আসার পর ওই শিক্ষিকার ছেলে শিশুটিকে নিজ বাড়ির আরেকটি ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর নির্যাতিত শিশুটি স্বজনদের ঘটনাটি জানালেও তারা থানায় অবগত না করে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কামুক্ত। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
আরএ/টিএ