ধর্ষণের প্রতিবাদে মহিলা জামায়াতের মানববন্ধন

ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। ধর্ষণের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে মানববন্ধন থেকে বলা হয়, বিগত স্বৈরাচার সরকারের ছত্রছায়ায় ধর্ষণের ঘটনা সমাজে বিস্তার করেছে। ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তার বিচার করেনি। এতেই স্পষ্ট আওয়ামী লীগ ধর্ষণের বিস্তার ঘটিয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার কোনো উপাদান নেই। শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নামার কারণেই সমাজের আজ করুণ পরিণতি।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে দলটি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক নূরুন্নিসা সিদ্দীকা বলেন, ধর্ষকরা যুগে যুগে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কারণেই সমাজ থেকে ধর্ষণ নামক ব্যাধি দূর করা যায়নি। ধর্মহীনতার চর্চা এবং নৈতিকতাহীন শিক্ষা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ধর্ষককে তার নিজ এলাকায় জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলে তিনি বলেন, এতে পরবর্তীতে কেউ ধর্ষণের অপরাধ করার সাহস পাবে না। আছিয়া হত্যার মামলার রায় এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে এবং আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সব ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে শুধু মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) বিধান করতে হবে। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করার এবং জামিন বিধান বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে- এর বাস্তবায়ন চেয়ে তিনি আরও বলেন, শিশু আছিয়াকে শুধু ধর্ষণ করা হয়নি, হত্যাও করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সরকারের ঘোষণা ও আমাদের ৫ দাবির আলোকে বিচার করতে হবে। নতুবা নারী সমাজ কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী, নাজমুন নাহার নীলু, জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাঈদা রুম্মান ও মার্জিয়া বেগম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য রোজিনা আখতার, আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন, সালমা সুলতানা, ইরানি আখতার, মাহবুবা জাহান, খোন্দকার আয়েশা সিদ্দিকা, সুফিয়া জামালসহ মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বশীল নেতারা।

আরএইচ/এসএন

Share this news on: