কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে হাবিবুল হুদা চৌধুরী ওরফে ভিসিআর কালু (৬০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সিকদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত কালু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সাদিদুল হুদার বাবা।
এই ঘটনায় দুই নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট আবিদুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ইসলামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তাদের পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়। বিকেলে প্রথম দফায় হামলায় তিনি নিজেও আহত হন। এরপর রাত ১০টার দিকে পুনরায় আক্রমণে তার বাবা গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় সহযোদ্ধারা ও জুলাই বিপ্লবের কর্মীরা।
এদিকে অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলেও তার ভাই রিদওয়ানুল জানান, শুক্রবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে কালু ও তার লোকজন বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় আবদুর রাজ্জাক বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয় এবং তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরের সংঘর্ষেই কালু নিহত হন বলে দাবি করেন তিনি।
ঈদগাঁও উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এসকে ফারুকী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তাও দায়ী। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামীপন্থী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এসএস