নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ ডলারের চুক্তি হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প দলিলে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস।
নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ৬০ জন নারী শান্তিরক্ষীর আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ একটি তিনতলা ডরমিটরি নির্মাণ করা। এই উদ্যোগ শান্তিরক্ষায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবদানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
একইসঙ্গে এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩২৫ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা৫, ১০, ১৬ ও ১৭। প্রকল্পটির সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে তিন বছর। প্রকল্পের মোট আনুমানিক বাজেট নির্ধারিত হয়েছে ৯ লাখ ৯৭ হাজার মার্কিন ডলার।
ইআরডি সচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা ও নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রকল্পটি সেসব লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউএনওপিএস-এর সহায়তায় বিপসট-এর সক্ষমতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
ইউএনওপিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রাক-প্রস্তুতি প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নারীদের জন্য একটি বিশেষ আবাসন সুবিধা নির্মাণ করা হবে, যা তাদের প্রশিক্ষণকালীন সম্পূর্ণ সময়ের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। নারী শান্তিরক্ষীদের ক্ষমতায়ন মানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পথ তৈরি করা, যা স্থায়ী বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এমআর/টিএ