কিডনি ভালো রাখতে খাবেন যেসব খাবার

সামগ্রিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো কিডনির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখা। কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এসব খাবার শরীরকে হাইড্রেট রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিকভাবে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। তাই কিডনির সুরক্ষায় উপকারী খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

চলুন জেনে নিই, কোন কোন খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকে।


আপেল
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ আপেল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং কিডনির ডিটক্সিফিকেশন বজায় রাখে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে।

চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এ ধরনের মাছ রক্তচাপ কমায়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে। নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

লাল বেল পেপার
কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ লাল বেল পেপার প্রদাহ কমায়, কিডনির কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং সাধারণ কার্যকারিতায় সহায়তা করে। তাই কিডনি-বান্ধব খাবার খুঁজলে তালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি।

পেঁয়াজ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ পেঁয়াজ কিডনি পরিষ্কার, রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম কম থাকে, যা কিডনি-বান্ধব খাদ্য হিসেবে বেশ উপকারী।

রসুন
প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ রসুন কিডনির চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সংক্রমণ দূরে রাখে এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি কিডনিকে সুস্থ রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়।

বাঁধাকপি
ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাঁধাকপি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, হজমে সহায়তা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে এটি সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।

ফুলকপি
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফুলকপি কিডনির কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এটি টক্সিন জমা কমায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসও কমায় যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

ব্লুবেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ব্লুবেরি কিডনিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মূত্রনালীর সুস্থতায় সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এসএস

Share this news on: