ভৈরবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।শুক্রবার (২১ মার্চ) শহরের জগন্নাথপুর লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আহতদের মধ্যে মহিন মিয়া, শিপন মিয়া, আল আমিন, মিনারা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার, মমতা বেগম এবং অজুফা বেগমসহ আরও অনেকে রয়েছেন। গুরুতর আহত অজুফা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী। তিনি বলেন, সেনাসদস্যদের সহায়তায় সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরের ডেঙ্গাবাড়ির জীবন মিয়ার কাছ থেকে মোবাইল কেনেন জিহাদ মিয়া। পরদিন সন্ধ্যায় জীবন মিয়া টাকা না দিয়ে সেই ফোন জিহাদ মিয়ার কাছ থেকে ফেরত নেন। আগারবাড়ির শিপন মিয়া এর প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে সালিশ বসানো হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ফের কথা কাটাকাটি হয়। তখন আগারবাড়ির সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জড়ো হতে বলে। এ ঘোষণা শুনে দুই পক্ষই দা, বল্লম, টেঁটা, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। উভয় পক্ষের ২০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।


আগারবাড়ির শিপন মিয়া বলেন, ডেঙ্গাবাড়ির জীবন চুরি করা ফোন জিহাদ নামে এক শ্রমিকের কাছে বিক্রি করে আবার ফেরত নেয়। প্রতিবাদ করলে হামলা করে। সকালে সালিশেও হামলা চালায় তারা। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নাদিম মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে দোকানের মালপত্র তুলেছি। আমরা ঝগড়ায় ছিলাম না। এরপরও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বাড়িঘরেও হামলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুড়িগ্রামে নাশকতার পরিকল্পনার সময় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Nov 18, 2025
img
নিখোঁজের ৩৩ বছর পর বাড়ি ফিরলেন মোবারক হোসেন Nov 18, 2025
img
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি Nov 18, 2025
img
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভিসা সাক্ষাৎকারে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা ট্রাম্পের Nov 18, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আভাস Nov 18, 2025
img
বিএনপি নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার Nov 18, 2025
img
আজ সরকারি দপ্তরগুলোতে যাচ্ছে না শেখ হাসিনা-কামালের রায়ের কপি Nov 18, 2025
img
কোচ-ম্যানেজারকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা Nov 18, 2025
img

জয়া আহসান

‘তার মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার’ Nov 18, 2025
img
হাসপাতালে মারা গেলেন সংগীতশিল্পী হুমানে সাগর Nov 18, 2025
img
স্থগিতের শঙ্কায় ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ Nov 18, 2025
img

জিল্লুর রহমান

অপরাধের শাস্তি দরকার সেই বিষয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই Nov 18, 2025
img
পা হারানো মানুষদের জন্য ফুটবল টুর্নামেন্ট Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে আজ Nov 18, 2025
img
পারমাণবিক সক্ষমতার পথে সৌদি, পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’: শশী থারুর Nov 18, 2025
img
ছেলে দেখে না, অচেনা মানুষেরা খেতে দেয় যুবরাজের বাবাকে Nov 18, 2025
img
১৮ ডিসেম্বর মেহজাবীনের জবাব দাখিলের নির্দেশ আদালতের Nov 18, 2025
img
বুধবার ইসির সংলাপে আসছে বিএনপি ও জামায়াত Nov 18, 2025
img
সাভারে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কারখানায় লুটের চেষ্টার অভিযোগ Nov 18, 2025