দেশে সকল ক্লিনফিডবিহীন স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছে।
সম্প্রতি বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন শাখার উপপরিচালক মো. হাসিবুল কবিরের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের কিছু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুমোদিত বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটরদের (পরিবেশকদের) পরিবেশিত পে-চ্যানেলগুলো পাইরেসি করে বাসা-বাড়িতে ক্লিন ফিডবিহীন অবস্থায় ইন্টারনেট কানেকশনে প্রদর্শন করছে। এছাড়া কিছু কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও একই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার ফলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সেবার আওতায় বিদেশি চ্যানেলের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের এমন অবৈধ কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ এর ৭৩ নম্বর ধারা এবং আইএসপি গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৭ দশমিক ৬ এর লঙ্ঘন। একইসঙ্গে গাইডলাইনের সাথে সংযুক্ত এপেনডিক্স-৪ এর ২(ডি)(এক্স) এর হলফনামার অঙ্গিকারের সরাসরি বরখেলাপও। তাই এমন অবস্থায়, ইন্টারনেট সেবার আওতায় পাইরেসি ও ক্লিন ফিডবিহীন স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই পত্র জারির পরবর্তী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ মার্চ) বিটিআরসিকে জানানোর জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
চিঠিটি আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, সব আইএসপিদের (জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, থানা পর্যায়) পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ক্লিনফিডবিহীন স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন বলতে বোঝানো হয়, এমন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার, যেখানে বিদেশি কন্টেন্ট বা অনুষ্ঠানগুলোতে ক্লিনফিড (অর্থাৎ, অপ্রত্যাশিত বা অশালীন বিজ্ঞাপন, অশোভন দৃশ্য, বা আপত্তিকর অংশ) মুছে ফেলা বা বাদ দেওয়া হয় না। ফলে এমন সরাসরি বিদেশি কন্টেন্ট প্রচার স্থানীয় পর্যায়ে (দেশের) দর্শকদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত বা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।