মার্কিন নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চীন!

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক এবং সাইবার হুমকি চীন।

২৪ মার্চ প্রকাশিত বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং ‘স্থির কিন্তু অসম’ গতিতে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে তাইওয়ান দখলের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহার করা হতে পারে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, চীন দ্রুত তার পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার সম্প্রসারণ করছে। তারা ধীরে ধীরে সমরাস্ত্র, সমর যান ও পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, আগামী দশকের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতার দিক থেকে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে পারে। 
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের সামরিক কৌশলের একটি বড় অংশই তাইওয়ান দখলের প্রস্তুতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, চীন কেবল সামরিক খাত শক্তিশালী করেই নয়, সাইবার হামলার মাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে চীনা হ্যাকাররা সক্রিয়ভাবে সাইবার আক্রমণ পরিচালনা করছে বলেও দাবি পেন্টাগনের। 

সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থ চীনকে সামরিক শক্তিতে অপ্রতিরোধ্য করে গড়ে তুলছে একটি মহল। এমন দাবি করে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করতে এবং মহাকাশেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম।

এছাড়া, বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়েও এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। প্রতিবেদনে চীন ছাড়াও রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াকেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 
পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা শক্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, রাশিয়া তাদের সামরিক শক্তি, বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আধুনিকায়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। এতে ভবিষ্যৎ সংঘাতের নতুন ধারা সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়, আগামী দিনের যুদ্ধ কেবল প্রচলিত যুদ্ধক্ষেত্রে হবে না। ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে সাইবারস্পেস, মহাকাশ, এবং অর্থনৈতিক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কেন্দ্রিক।

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভালুকায় আলোচিত ঘটনার মূলহোতা গ্রেফতার Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে টানা ৪ দিন পর ঘুরে দাঁড়াল ডলারের দাম Jul 15, 2025
img
ছোট পর্দায় ফিরছে হ্যারি পটার, প্রকাশ্যে প্রথম লুক Jul 15, 2025
img
নাটোরে সেই দুই নারীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিল সেনাবাহিনী Jul 15, 2025
img
অশ্রুসিক্ত নয়নে অভিনয় জীবনের গল্প শোনালেন আনোয়ারা Jul 15, 2025
৫০ দিনের আল্টিমেটাম, রাশিয়াকে শা'স্তি দিতে প্রস্তুত ট্রাম্প Jul 15, 2025
জুলাই স্মরনে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’এ, যা যা থাকছে Jul 15, 2025
বিএসবির খায়রুলের প্রতারণায় শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ, উত্তপ্ত আদালত Jul 15, 2025
img
১৯ জুলাই জামায়াতের সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক Jul 15, 2025
রেল মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা হাতে পেলেন ড. মইনউদ্দিন Jul 15, 2025
img
আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে জানালেন রিজভী Jul 15, 2025
img
আদালতে বিএসবির বাশারকে কিল-ঘুষি-লাথি, ডিম নিক্ষেপ Jul 15, 2025
img
ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার Jul 15, 2025
img
ছাত্ররা থাকবে পাঠকক্ষে, ক্লাসরুমে, সচিবালয়ে ওদের কাজ কী: প্রশ্ন রিজভীর Jul 15, 2025
img
'হরি হরা বীরা মল্লু-পার্ট টু' নিয়ে নিধির উক্তিতে হতাশ ভক্তরা Jul 15, 2025
img
যে কারনে বার বার প্রত্যাখ্যান হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা Jul 15, 2025
img
নানির নতুন সিনেমায় সাহসী চরিত্রে কায়াদু লোহার Jul 15, 2025
img
মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল : নাহিদ ইসলাম Jul 15, 2025
img
পুলিশ সদস্যদের কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম Jul 15, 2025
img
বলিউডে শোকের ছায়া, বিনোদন জগত হারালো এক নক্ষত্র Jul 15, 2025