দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে ১৮ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে।

একাধিক দাবানল জ্বলছে এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ মার্চ) দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছেন।

সপ্তাহান্তে এক ডজনেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গ্রামগুলো পুড়ে যাওয়ায় এবং একটি ঐতিহাসিক মন্দির পুড়ে যাওয়ায় রাতারাতি মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সরকার সংকট মোকাবিলা করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় সাড়াদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ’দাবানলে আঠারো জন মারা গেছেন এবং ছয়জন গুরুতর আহত এবং ১৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন।’

শুষ্ক, বাতাসের কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।

মঙ্গলবার, কর্তৃপক্ষ ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হাহো ফোক ভিলেজ দাবানলের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, উলসান এবং গিয়ংসাং অঞ্চলে টানা পঞ্চম দিনের জন্য দাবানল ব্যাপক ক্ষতি করছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে কর্তৃপক্ষ জরুরি স্থানান্তর শুরু করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হতাহতের ঘটনা রোধ করা যায়নি।

হান বলেন, হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে ২৫ মিটার বেগে তীব্র বাতাস বয়ে গেছে। যার ফলে হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অভিযান স্থগিত করতে হয়েছে।

হান বলেন, আরো বেশি লোককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং সরকার দাবানলে বাস্তুচ্যুতদের জরুরি ত্রাণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

বিএসবির খায়রুলের প্রতারণায় শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ, উত্তপ্ত আদালত Jul 15, 2025
img
১৯ জুলাই জামায়াতের সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক Jul 15, 2025
রেল মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা হাতে পেলেন ড. মইনউদ্দিন Jul 15, 2025
img
আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে জানালেন রিজভী Jul 15, 2025
img
আদালতে বিএসবির বাশারকে কিল-ঘুষি-লাথি, ডিম নিক্ষেপ Jul 15, 2025
img
ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার Jul 15, 2025
img
ছাত্ররা থাকবে পাঠকক্ষে, ক্লাসরুমে, সচিবালয়ে ওদের কাজ কী: প্রশ্ন রিজভীর Jul 15, 2025
img
'হরি হরা বীরা মল্লু-পার্ট টু' নিয়ে নিধির উক্তিতে হতাশ ভক্তরা Jul 15, 2025
img
যে কারনে বার বার প্রত্যাখ্যান হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা Jul 15, 2025
img
নানির নতুন সিনেমায় সাহসী চরিত্রে কায়াদু লোহার Jul 15, 2025
img
মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল : নাহিদ ইসলাম Jul 15, 2025
img
পুলিশ সদস্যদের কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম Jul 15, 2025
img
বলিউডে শোকের ছায়া, বিনোদন জগত হারালো এক নক্ষত্র Jul 15, 2025
img
‘সাকিব থাকার সময় দল সাজানো সহজ ছিল’ Jul 15, 2025
img
এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম : তোরসা Jul 15, 2025
img
বাণিজ্যের নামে কোন গোপন চুক্তি চলবে না: সিপিবি Jul 15, 2025
img
দশম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা Jul 15, 2025
img
শামীম ওসমানের সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সন্দেহভাজন লেনদেন: দুদক Jul 15, 2025
img
ইসির নির্বাচনী প্রস্তুতিতে একযোগে ৫১ কর্মকর্তার বদলির Jul 15, 2025
img
প্রায় ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান থাকার কারণ জানালেন জন Jul 15, 2025