যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় সম্মত ইরান

পরমাণু আলোচনা ফের শুরুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠি সম্পর্কে আমাদের মতামত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।

আমাদের নীতি এখনো সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে সরাসরি আলোচনায় না জড়ানো। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

তিনি বলেন, চিঠিতে ওমানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর আগে যখন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না তখন ওমান দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে।

তবে ঠিক কী ধরনের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং কখন চিঠিটি পাঠানো হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

সম্প্রতি নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হতে ইরানকে দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। রাজি না হলে তেহরানে হামলারও হুমকি দেন তিনি। যার তীব্র সমালোচনা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছার কথা অস্বীকার করে আসছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে ৯০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়।

তবে তারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিশুদ্ধতার মান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি উল্লেখ করে সতর্ক করেছে আইএইএ।

ইরান ২০১৯ সাল থেকে পারমাণবিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর এক বছর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি তখন ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

এফপি/এস এন 

Share this news on: