ঈদের আগে মাংসের বাজারে ‘অস্বস্তি’

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মাংসের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। শেষ সময়ে গরুর মাংসের কেজি ১০০ টাকা, খাসির মাংস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার, দেশি মুরগি, এমনকি ব্রয়লারও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
রোববার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মুগদা এবং বাসাবো কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুর মাংসের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়, যা গেলো সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ছিল। একইভাবে, খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১,০০০ টাকা। ফলে ঈদের আগে প্রতি কেজি মাংসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এদিকে, মুরগির বাজারও উত্তপ্ত। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ২৮০ টাকার পরিবর্তে ৩৩০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি, যা গত সপ্তাহে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের বাজার করতে আসা আলী মিয়া বলেন, দুদিন আগেই গরুর মাংস কিনেছিলাম ৭৫০ টাকায়, কিন্তু আজ ৮২০ টাকা। দুদিনের ব্যবধানে দাম এত বাড়লো, এটা বুঝতে পারছি না। মানুষ সময়মতো বাজার করতে পারেন না, যার ফলে শেষ সময়ে মাংসের দোকানে ভিড় বাড়ে, এবং দোকানিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন।

আরেক ক্রেতা বলেন, রমজান জুড়ে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানো হয়েছে। যে মুরগি ১৮০ টাকায় কিনেছিলাম, এখন সেটাই ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুগদা বাজারের মুরগি বিক্রেতা  বলেন, আমরা ২২০ টাকায় মুরগি কিনে এনেছি, ২৪০ টাকায় বিক্রি করছি। আমাদের তেমন লাভ নেই, সব দাম আড়ৎ থেকেই ঠিক হয়।

গরুর মাংস বিক্রেতা  বলেন, গতকাল পর্যন্ত গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজ ৮০০ টাকা নিচ্ছি। ঈদ সামনে রেখে ৫০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে, এটা ঈদের বকশিস। 

এফপি/এস এন

Share this news on: