মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০০

মিয়ানমারে নতুন করে ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে মান্দালয়ের কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এদিকে দুই দিন আগে মিয়ানমারে হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

রোববার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে নতুন করে আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে। শুক্রবারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মান্দালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

এছাড়া বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার মধ্যরাতের দিকে একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
 
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এতে অসংখ্য ভবন ধসে পড়ে এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ডসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশেও পড়ে।

তবে মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডে নিহতের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যাংককে একটি ৩৩ তলা ভবন ধসে পড়ে, যার উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের সন্ধানে অভিযান চললেও চিকিৎসা সরবরাহের তীব্র ঘাটতি থাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় বাধা হচ্ছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফটারশকের ভয়ে শনিবার রাতে রাস্তায় ঘুমিয়েছে মিয়ানমারের মানুষ। তাদের আশঙ্কা ছিল ভূমিকম্পের পরে আফটারশকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ভেঙে পড়তে পারে।

ব্যাংককে ধসে পড়া বহুতল ভবনটিতে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে রোববারও উদ্ধারকারীরা কাজ করছেন। ব্যাংককে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৮৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে বিদেশি উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলো ছুটে আসছে।
 
তবে শনিবার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামোর কারণে মিয়ানমারে মানবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এমআর/এসএন

Share this news on: