চাঁদরাতে টুপি-জায়নামাজ ও আতর কিনতে ‍মুসল্লিদের ভিড়

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মুহূর্তে তাই জমে উঠেছে টুপি, জায়নামাজ ও আতরের বাজার। শেষের কেনাকাটায় বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পাঞ্জাবি, টুপি ও জায়নামাজের দোকানগুলো।

রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর কাটাবন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। জমজমাট পাঞ্জাবি টুপি, জায়নামাজ ও আতরের বেচাকেনা।

পোশাক কেনা শেষ হয়েছে আগেই। এবার ঈদের নামাজ আদায়ের টুপি ও জায়নামাজ কিনতে দোকান ও ফুটপাতে ভিড় করছেন মুসল্লিরা। সেই সঙ্গে সুগন্ধিপ্রিয় মানুষজন ভিড় করছেন আতরের দোকানেও। ক্রেতারা বলেন, ঈদের নামাজের অন্যতম অনুষঙ্গ টুপি ও জায়নামাজ। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে কিনতেই ভিড় করছেন তারা।

আলতাফ নামে এক ক্রেতা বলেন, পোশাক, জামা-জুতা কেনা শেষ। বাকি রয়েছে জায়নামাজ ও টুপি। তাই শেষ সময়ে এসেছি কিনতে। সকালে এই টুপি পড়েই ঈদের নামাজ পড়তে যাব। সঙ্গে আতরও কিনব।

মার্কেটগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের আতর, টুপি ও জায়নামাজ। বিক্রেতারা বলছেন, হাসনা হেনা, সিলভার, রজনীগন্ধা, চকোলেট ম্যাক্স সুলতান, রয়েল, অরেঞ্জ, জান্নাতুল ফেরদৌস ও লর্ডভিনিয়া ম্যানের চাহিদা বেশি।

আতর বিক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, ঈদের দিন শুভ্রতা ও পবিত্রতার সৌরভ ছড়িয়ে দিতে সবারই আতরের প্রতি আকর্ষণ থাকে। সৌদি আরব, ভারত ও আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা কমপক্ষে ২০০ ধরনের আতর পাওয়া যাচ্ছে।

শেষ সময়ে ক্রেতার চাপ সামান্য বেড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বোতলের শিশি অনুযায়ী ১০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামেরও আতর বিক্রি হচ্ছে।
পিছিয়ে নেই টুপির বিক্রিও। টুপির মান ভেদে দামেরও তারতম্য রয়েছে। দেশে তৈরি টুপির পাশাপাশি চাহিদা রয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তান, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসা টুপিরও।

টুপি বিক্রেতা মোহাম্মদ সুমন বলেন, দেশি টুপির পাশাপাশি বিদেশি বাহারি টুপিও পাওয়া যাচ্ছে। দেশি টুপি কেনা যাচ্ছে ১০০ থেকে ১ হাজারের মধ্যে। আর ৫০০ থেকে ৬ হাজারের মধ্যে মিলছে উন্নত মানের বিদেশি টুপি।

পাওয়া যাচ্ছে হরেকরকম জায়নামাজও। যার মধ্যে দেশির পাশাপাশি পাকিস্তানি, তুরষ্ক ও আফগানস্তানি জায়নামাজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। জায়নামাজ বিক্রেতা সোলেয়মান বলেন, ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় গ্যাবার্ডিন কাপড়ের জায়নামাজ। ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পাকিস্তান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান ও বেলজিয়ামের জায়নামাজ।

তবে শেষ সময়ে ভিড় বাড়লেও বেচাকেনায় খুশি নন অনেক ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর কাটাবনের ফাতেমা হিজাবের বিক্রেতা বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভালোই বেচাকেনা হচ্ছিল। রাত ১০টার পর থেকে চাপ কমে এসেছে। তবে গত বছরের তুলনায় মোটামুটি ভালো।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি Apr 01, 2025
img
নতুন বাংলাদেশে সুযোগ দেখছে ইসলামি উগ্রপন্থীরা Apr 01, 2025
img
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা Apr 01, 2025
img
ব্যাংককের ধ্বংসস্তূপে এখনো ৭০ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা Apr 01, 2025
img
ইরানে হামলার হুমকি, ট্রাম্পকে সতর্ক করল রাশিয়া Apr 01, 2025
img
নেতানিয়াহুর গ্রেফতারে হাঙ্গেরিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির Apr 01, 2025
img
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা বললেন মাহফুজ আনাম Apr 01, 2025
img
মোটরসাইকেলে গতির প্রতিযোগিতা, নিহত ২ বন্ধু Apr 01, 2025
img
বিএনপি নেতার মামলায় ৩ সাংবাদিক Apr 01, 2025
img
আওয়ামী লীগকে কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না : উপদেষ্টা মাহফুজ Apr 01, 2025