বছর শেষে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত : রেজাউল করিম

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন। সেটির জন্য এ বছরের শেষে বলা আছে। আমরা এর আগেই দাবি করি স্থানীয় নির্বাচন হওয়া দরকার। এজন্য আমরা মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি।

জামায়াতের মেম্বার-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কাজ করছে। জাতীয় সরকার আইন প্রণয়ন করবে। কিন্তু জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ স্থানীয় সরকারের কোন বিকল্প নাই। কিন্তু সেগুলো ভেঙে পড়ার কারণে আমরা মনে করি স্থানীয় নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ মনসা বাড়ির সামনে আয়োজিত শ্রী শ্রী বাসন্তী দুর্গোৎসব পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
 
রেজাউল করিম বলেন, খুন খারাবি যারা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। রাজনীতিবিদ যদি সৎ হয় তাহলে দেশে ৯৯ শতাংশ অপরাধ রোধ করা সম্ভব।
কারণ তাদের নির্দেশেই অপরাধ হয়। পুলিশ ঠিকই ধরে কিন্তু সে বলে আমার দলের লোক ছেড়ে দেন। তার ইঙ্গিতেই রিকশাওয়ালা-শ্রমিক থেকে টাকা নেওয়া হয়। রিকশাওয়ালারা টাকা দেয়, সেই টাকার ভাগ রাষ্ট্রের বড় বড় রুই-কাতলারা পর্যন্ত পায়। আমরা লুটপাট-দুর্নীতির বাংলাদেশ দেখতে চাই না।আমরা রাজনীতিবিদদের কাছে চাই সততা আর দুঃশাসনের অবসান।

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি সম্প্রিতির একটি বাংলাদেশ। আগামি দিনে ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার আসবে। মসজিদ যদি পাহারা দিতে না হয়, মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? আমরা সেরকম একটি সহনশীল সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ আছে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা এ দেওয়ালটাকে অতিক্রম করতে চাই। দেশের সকল নাগরিকই হচ্ছে সমান অধিকার। তাই সংখ্যালঘুর আর সংখ্যাগুরু বলতে কোন কিছু নেই।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, মন্দীর পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবজিৎ নাথ, সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দেবনাথ ও বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।


এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

ইসরায়েল কে টার্গেট করে হামলা, দায় নিল হুতিরা Jul 02, 2025
img
দেশের বাজারে বাড়লো স্বর্ণের দাম, আজ থেকে বিক্রি হবে নতুন দামে! Jul 02, 2025
img
আমার খুবই পছন্দ বরিশালের পেয়ারা বাগান : সাফা কবির Jul 02, 2025
img
হজযাত্রা শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি Jul 02, 2025
img
কাশ্মীর ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় হতে বলল পাকিস্তান Jul 02, 2025
img
সামরিক ট্যাঙ্কের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল চীন Jul 02, 2025
img
বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ, জাপানকে দোষারোপ ট্রাম্পের Jul 02, 2025
img
ঢাকায় আংশিক মেঘলা আকাশ, স্বস্তির আশা Jul 02, 2025
img
পদ্মার পানি বাড়ছে! Jul 02, 2025
img
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করলেই ৫০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রে Jul 02, 2025
img
আহত হয়েও শুটিং শেষ করলেন আদা শর্মা Jul 02, 2025
img
সাত অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়ের আভাস Jul 02, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মিছিল, নিহত ১০৯ Jul 02, 2025
img
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সাফল্য! Jul 02, 2025
img
দুই ঘণ্টার চেষ্টায় টিকাটুলির কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে Jul 02, 2025
img
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সর্বাধিক পতন, সংকটে যুক্তরাষ্ট্র Jul 02, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত Jul 02, 2025
img
জবি শিক্ষকের নামে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ Jul 02, 2025
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করল লাগেজ ট্রলি Jul 02, 2025
img
টিকাটুলিতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট Jul 02, 2025