সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাসহ প্রচারে পোস্টার না রাখার প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনের ছয়টি বিষয় নিয়ে গঠিত কমিটি সোমবার সকালে একটি সভা করে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে পোস্টার থাকছে না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এরকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আচরণবিধির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে আজ একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।”
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সংস্কার কমিশনের বিধি নিয়ে যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে, যেমন স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নতুন কিছু বিষয় আমরা ইনকরপোরেটে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে।”
আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। পরিস্থিতিই আমাদের বলবে কী করতে হবে।”
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখা, নির্বাচনী শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, নিরবচ্ছিন্নভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, যেন সব প্রার্থী সমভাবে প্রচার করতে পারেন সেই ধরনের অ্যাটিচ্যুড নিয়ে আমরা আচরণবিধির খসড়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনী আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাব করা হয়েছে।”
এফপি/টিএ