দেশ এখন কাঁপছে ‘বরবাদ’ ঝড়ে। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খানের সিনেমাটি রীতিমতো তুফান সৃষ্টি করেছে দর্শকমনে। প্রিয়তমার পর এ ছবিতে ফের শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। আর বাংলাদেশে টানা দ্বিতীয় সাফল্যে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ নায়িকা।
ইধিকার মতে, শাকিব তাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই তার এই সাফল্য। এ জন্য শাকিব খানের প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি।
সম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের দর্শকের ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছেন ইধিকা। সেই সঙ্গে শাকিবের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন এ নায়িকা।
শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন ইধিকা। তিনি বলেন, ‘নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হয়। এই সিনেমায় কাজের সুযোগ পেয়েছি তাই ভাগ্যবতী মনে করি বিষয়টা এমন না। সিনেমায় অভিষেক হয়েছে তার সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে।
শাকিব খানের সঙ্গে সবাই কাজ করতে চায় জানিয়ে ইধিকা বলেন, ‘একজন তারকার সঙ্গে কাজ করার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশ কিংবা কলকাতা নয়। সব ইন্ডাস্ট্রির অভিনয়শিল্পীরা মুখিয়ে থাকে। আমিও মুখিয়ে ছিলাম ভালো কোনো গল্পে কাজ করার জন্য। আবার ওনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, এ জন্য অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হয়।
শাকিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইধিকা বলেন, ‘শাকিব খান যদি না মনে করতেন আমি প্রিয়তমা ছবির অংশ হতে পারি বা এ সুযোগটা যদি না করে দিতেন, তাহলে ওই ছবিতে কাজ করতে পারতাম না। যদি ওই ছবিতে অভিনয় করতে না পারতাম, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আমাকে চিনতে পারত না। দর্শকরা আমাকে ভালোবাসতে পারত না। আর ‘বরবাদ’ সিনেমায় কোনো দিনও কাজ করতে পারতাম না। এ ছবির আমাকে যোগ্য ভেবেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা।’
বরবাদে নিজেকে ঢেলে সাজিয়েছেন এ নায়িকা। এ প্রসঙ্গে ইধিকা বলেন, “প্রিয়তমা সিনেমায় অভিনয়ের সময় দর্শক জানত না, আমি কী পারব, কতটা পারব। তখন দর্শকদের এক ধরনের প্রত্যাশা ছিল। ‘প্রিয়তমা’র পরে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। বরবাদ সিনেমায় কাজ করার আগে আমাকে এটা মাথায় রাখতে হয়েছে যে দর্শকদের প্রত্যাশার লেভেলটা আমার ছুঁতে হবে। অথবা তার থেকে বেশি ভালো পারফর্ম করতে হবে।”
ঢাকাই সিনেমায় ঝড় তুলেছে ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমা। পরিচালক হিসেবে নিজের প্রথম সিনেমার জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। শাকিব খান ও ইধিকা পাল ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মামুনুর রশীদ, ইন্তেখাব দিনার, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
এমআর/টিএ