পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টেলিভিশন পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ৬ জন পথচারীকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ এপ্রিল, রবিবার সকালে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে, যখন পরিচালক তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেন।
পরিস্থিতি শোচনীয় হলে সাধারণ মানুষ গাড়িটি ধরে ফেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায়, পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচালক সিদ্ধান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর কলকাতার টলিউডে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘এতদিন জানতাম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালান গুরুত্বর অপরাধ। ধরা পড়লে পুলিশ কোনো কথা শোনে না। কোনো রকম ক্ষমতা, পরিচিতি - আমি কে জানো, আমি কার ছেলে জানো - এই মার্কা এটিটিউড কাজ করে না। সোজা কারাগার।
কলকাতায় নাকি পুলিশ এই নিয়ে খুবই কড়াকড়ি করে। তাই জানি এবং তাই দেখেছি। কড়া নাকাবন্দি, চেকিং, গাড়ি তে মহিলা থাকলেও কোনো আপোষ নয়।’
এরপরই স্বস্তিকার প্রশ্ন, ‘তাহলে এত মারাত্মক একটা ঘটনায় সবাই কী করে জামিন পেয়ে গেল? যে মহিলা বাজার থেকে পালাল তাকে নাকি ধরা হয়নি। সে কে? তাকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? যে রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ সেই রাস্তায় গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে মেরে ফেললো।
এতজন হাসপাতালে। এত রকম খবর ঘুরছে যে সঠিক কজন আহত হয়েছে তা বোঝা কষ্ট। কিন্তু একজনের মৃত্যুটা ইয়ার্কি?’
তিনি পুলিশের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্বস্তিকা বলেন, "সহ্যের একটা সীমা থাকে। এত বড় দুর্ঘটনার পর সবাই জামিন পেল কীভাবে? পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন।"
এছাড়া, স্বস্তিকা অভিযোগ করেছেন যে গাড়ির চালক এবং গাড়ির মধ্যে থাকা দুই নারীও অপরাধী এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও যোগ করেছেন, "এই ধরনের ঘটনায় কিভাবে পুলিশ কিছুই করতে পারলো না?"
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও, তীব্র প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আরএ/এসএন