গরমের সময়ে ত্বকের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ব্রণ ও ঘামাচি। শুধু মুখেই নয়, গলা ও বুকেও দেখা দেয় ব্রণ ও র্যাশের সমস্যা, যা সৌন্দর্য তো নষ্ট করেই, অনেক সময় তৈরি করে অস্বস্তি ও সংক্রমণজনিত ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব আঁটসাঁট বা সিন্থেটিক কাপড় পরা, দীর্ঘ সময় অন্তর্বাস পরে থাকা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ধুলাবালির কারণে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তেল জমে তৈরি হয় ব্রণ।
সমস্যা বাড়ে যেভাবে:
গরমে ঘামের পরিমাণ বাড়ে
আঁটসাঁট ও কৃত্রিম কাপড় ঘর্ষণ সৃষ্টি করে
ধুলাবালি রোমকূপ বন্ধ করে দেয়
অতিরিক্ত তেল নিঃসরণে ত্বকে সৃষ্টি হয় সংক্রমণ
‘ক্লিনিকাল বায়োকেমিস্ট্রি’ জার্নালের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ এবং ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সক্রিয়তার কারণেই মূলত ব্রণ দেখা দেয়।
ঘরোয়া উপায়েই মিলতে পারে মুক্তি
চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়ও ব্রণের সমস্যা কমাতে কার্যকর হতে পারে:
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টোনার
সমপরিমাণ পানি ও ভিনিগার মিশিয়ে তুলা দিয়ে ব্রণের জায়গায় লাগান। ১৫–২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সরাসরি ভিনিগার ব্যবহার না করাই ভালো।
টি ট্রি অয়েল ও নারকেল তেল
১:৯ অনুপাতে টি ট্রি অয়েল ও নারকেল তেল মিশিয়ে লাগালে ব্যথা ও চুলকানি কমে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য প্রদাহনাশকও।
মধু-দারচিনির মাস্ক
এক চা চামচ মধুর সঙ্গে আধা চামচ দারচিনি গুঁড়া মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে বা গলায় লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে।
কী করবেন, কী করবেন না
.হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড় পরুন
. দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন
. ঘামার পরপরই পরিষ্কার করে নিন শরীর
. স্যাঁতসেঁতে বা ঘামে ভেজা পোশাকে দীর্ঘ সময় থাকবেন না
. খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
গরমে ত্বকের যত্নে সামান্য সচেতনতাই হতে পারে বড় সমাধান। প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে ব্রণ ও র্যাশের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।