ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাদের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, ১৫৫ জন চীনা নাগরিক রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) কিয়েভে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চীনা নাগরিকদের নিয়োগ করছে এবং চীনা কর্মকর্তারা এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবগত। ইউক্রেন মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে, নিয়োগপ্রাপ্তরা বেইজিং থেকে নির্দেশনা পাচ্ছে কি না।
জেলেনস্কি বলেন, চীনা সমস্যাটি গুরুতর। ইউক্রেনের ভূখণ্ডে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এমন চীনা নাম এবং পাসপোর্টের বিবরণসহ ১৫৫ জন লোকের তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের মধ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধরত দুই চীনা নাগরিককে আটক করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীনা যোদ্ধাদের সম্পর্কে দেশটি প্রথম এমন দাবি তোলে।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনেক চীনা নাগরিক ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, এমন ধারণা 'একেবারে ভিত্তিহীন'।
তিনি বলেন, চীন সরকার সর্বদা তার নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতের এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যে কোনো ধরণের সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হওয়া এড়াতে বলেছে। বেইজিং কিয়েভের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই করছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। চীন এই সংঘাতে নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করে আসছে। দেশটি বলে, তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো কোনো পক্ষকে প্রাণঘাতী সহায়তা পাঠাচ্ছে না।
অপরদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছে, ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য হাজার হাজার সেনা এবং গোলাবারুদ পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ইউক্রেনের জন্য যথেষ্ট সামরিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক সহায়তা প্রদানের ফলে যুদ্ধটি কিছুটা হলেও শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে।
আরএ/এসএন